সর্বশেষ আপডেট



» মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

» ভোক্তা নিউজ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন মিরসরাইয়ের সন্তান গাজী টিভির তৌহিদ রানা

» পূর্ব হিঙ্গুলী মোহাম্মদপুর ইসলামিক একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ

» হাইতকান্দিতে সমাজসেবক জামশেদ আলমের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে সাড়ে ৩ শত পরিবার পেল খাদ্য সামগ্রী

» করেরহাটে ওবায়দুল হক খোন্দকার ও নুর নাহার বেগম ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

» জিয়া উদ্দিন সিআইপিকে সংবর্ধনা

» সাহেরখালীতে দিদারুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ শত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

» করেরহাট গেড়ামারা ছাদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন

» সাংবাদিকতায় গোল্ড মেডেল জিতলেন মিরসরাইয়ের তৌহিদ রানা

» সিআইপি নির্বাচিত হলেন মিরসরাইয়ের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন

» মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক

» চট্টগ্রাম নগরীতে ‌‌‌‌হল টুডে কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন

» মিরসরাইয়ে অসহায় মেয়ের বিয়েতে আর্থিক অনুদান প্রদান করলো ওমান মিরসরাই সমিতি

» সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বারইয়ারহাট শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

» কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক মিরসরাইয়ের নেতাকর্মীদের দেখতে গেলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ

» সবুজায়নের লক্ষ্যে মিরসরাইয়ে দেড় লক্ষ বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ

» মিরসরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অদম্য যুব সংঘের নতুন কমিটি গঠন, নিয়াজ সভাপতি; সম্পাদক নাজমুল

» মিরসরাইয়ে এসএসসিতে ফাতেমা গার্লস হাই স্কুলের শতভাগ পাশের সাফল্য

» মিরসরাইয়ে আশা’র উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প

» জোরারগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্যোগে ৭ শতাধিক রোগী পেল ফ্রি চিকিৎসা

সম্পাদক ও প্রকাশক

এম আনোয়ার হোসেন
মোবাইলঃ ০১৭৪১-৬০০০২০, ০১৮২০-০৭২৯২০।

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ

প্রিন্সিপাল সাদেকুর রহমান ভবন (দ্বিতীয় তলা), কোর্ট রোড, মিরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম।
ই-মেইলঃ press.bd@gmail.com, newsmirsarai24@gmail.com

Desing & Developed BY GS Technology Ltd
২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর ভয়াবহতা


এম. জামশেদ আহমেদ

চট্টগ্রাম এ করোনায় সংক্রমন ও মৃত্যু দৈনন্দিন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। উপসর্গ নিয়েও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১/২ দিনের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু ঘটছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিতে না পারায় হাসপাতালের সামনে কিংবা রাস্তায় মৃত্যু ঘটছে। দেখা যায় শ্বাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অতঃপর মৃত্যু! করোনা টেষ্ট এর ফলাফল না আসাতে পারিবারিক কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে ফেরত যাওয়া , অতঃপর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অন্যত্র দাফন-কাফনের ব্যবস্থাকরন! বাড়ীর উঠানে লাশ পড়ে আছে ,সারাদিন কেউই লাশ দাফনে এগিয়ে আসছেনা উৎসুক মহল কোনরকম দায়িত্ব পালন না করে ফেসবুক সরগরম করে চলেছেন।

করোনা যুদ্ধে সমুখযোদ্ধা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মৃত্যুর পরে রেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন! প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা- করোনা প্রতিরোধে নানামুখী পদক্ষেপের জন্য প্রশংসিত, অথচ দুসপ্তাহ পর্যন্ত টেষ্ট এর ফলাফল না পেয়ে , আইসোলেশন সমাপ্ত করে হতাশচিত্তে ফের কাজে যোগদান! করোনাকালীন সময়ে বেকার হয়ে অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে গলা টিপে মারার পর বিষপানে পিতার আত্মহত্যা! হাসপাতালে চিকিৎসা করতে না পারায় অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া। এমনিতর ভয়াবহতা চলে আসছে।


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা প্রথম করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।পরবর্তীতে নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর হটস্পট চিহ্নিত হয়। এখন চট্টগ্রাম দ্বিতীয় হটস্পট। চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত রমজান মাস হতে করোনা সংক্রমন বাড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে উপজেলাগুলোতেও চড়িয়ে যায়।এখনো শহরে সংক্রমন ও মৃত্যু উপজেলাগুলো হতে অনেক বেশী।অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক গুন বাড়তে থাকে। এসময়ে করোনা চিহ্নিত কিংবা উপসর্গ নিয়ে মানুষ মরতে থাকে। আই.সি.উ. শয্যা না পাওয়া ও হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় শ্বসকষ্টে মানুষের মৃত্যু ঘটে।পত্রিকার শিরোনাম হতে থাকে” শ্বাস নিতে পারছেনা চট্টগ্রাম” ভয়াবহ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে! শরীর শিহরিত হয়ে উঠছে!


টেলিভিশনের পর্দ্দায় আমরা দেখছি হুইল চেয়ারে বসে অক্সিজেন গ্রহণ করছে রোগী, পাশে রোগীর স্বজনেরা অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ের কোলে শিশু অক্সিজেন গ্রহণ করছে- পাশে মামা অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় রোগী ভর্তির জন্য এদিক- ওদিক ছুটাচুটি চলছে ! সঠিক সময়ে অক্সিজেন সরবরাহ না পাওয়ায় , হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে শয্যার ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু! এ ধরনের দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার এর স্বল্পতা ও আই.সি.ইউ. শয্যার
অপ্রতুলতার তথ্যও জানা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি ( ২৬.০৭.২০২০) তথ্যসূত্র : দৈনিক পত্রিকা
সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট
আক্রান্ত : ২,৫২০ আক্রান্ত : ২,২১,১৭৮
মৃত্যু : ৩৮ মৃত্যু : ২,৮৭৪
সুস্থ : ১,১১৪ সুস্থ : ১,২২,০৯০
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি তথ্যসূত্র : চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়
নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা পজিটিভ সুস্থ মৃত্যু
২৫ মার্চ -২৪ জুলাই পর্যন্ত ৬২,৮২৫ ১৩,৫০৩ ১,৭৯২ ২২৭
সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ৭৪৪ ১২৬ ৫১ ০
মোট ৬৩,৬২৯ ১৩,৬২৯ ১,৮৪৩ ২২৭

বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারী হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন দুশর উপরে বা কাছাকাছি রোগী সংক্রমিত হচ্ছে। উপজেলাগুলোতে একশর কাছাকাছি সনাক্ত হচ্ছে।নগরীর প্রতিটি অলি-গলিতে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে।সংক্রমনের প্রথম দিকে কোন ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমিত হলে তাকে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে , হাসপাতালে আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কন্টাক্ট ট্রেসিংং এর মাধ্যমে এলাকা চিহ্নিত করে লাল পতাকা টাংগিয়ে দেওয়া ও পুলিশ পাহারা বসিয়ে লকডাউনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পত্রিকায় (অনলাইন/প্রিন্ট মিডিয়া) কোন এলাকায় কতজন চিহ্নিত করে বয়স ভিত্তিক লেখা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে এলাকায় বয়স ভিত্তিক সনাক্তের সংখ্যা উল্লেখ করে জানিয়ে দেওয়া হতো।এখন সনাক্তের সংখ্যা দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে।পত্রিকার মারফতে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম নগরীতে সংখ্যা কত,কোন উপজেলায় সংখ্যা কত। সংক্রমন দিনে দিনে বাড়লেও প্রচার ও কার্য্যকরী ব্যবস্থার অভাবে মানুষ বুঝতে পাছেনা- তার পাশের মানুষটি সংক্রমিত কিনা। পত্রিকায় নিয়মিত লেখা হচ্ছে- নতুন করে করোনা সনাক্ত হওয়া রোগীদের আইসোলেশনে নেয়ার কথা জানান সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ ফজলে রাব্বি।


শুরুতে একটিমাত্র ল্যাব ফৌজদারহাট বি আইটি আইডি- তে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। তখন উক্ত একটি ল্যাবেই চট্টগ্রাম সহ আশপাশের জেলাগুলোর নমুনা পরীক্ষা করা হতো।
ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য :
তারিখ ল্যাবের নাম নমুনা পরীক্ষা(সংখ্য্) আক্রান্ত পজিটিভ আক্রান্তের হার মন্তব্য
মহানগরী উপজেলা মোট
০৬.০৫.২০২০ বি,আই.টি.আই.ডি ২৩৯ ০৬ ০১ ০৭ ২.৯২% ১০% এর নীচে সনাক্ত
০৫.০৫.২০২০ বি,আই.টি.আই.ডি ২৪৩ ১২ ১০ ২২ ৯% ১০% এর নীচে সনাক্ত

বর্তমানে চট্টগ্রামের ০৬ টি ও কক্সবাজার মেডিকেল করেজের ল্যাবে (সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা) মোট ০৭ টি ঁ ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

                                  বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য   :                                                 

তারিখ ল্যাবের নাম নমুনা পরীক্ষা(সংখ্য্) আক্রান্ত পজিটিভ আক্রান্তের হার মন্তব্য
মহানগরী উপজেলা মোট
০২.০৬.২০২০ ১, বি,আই.টি.আই.ডি ২১২ ৩৮ ০৯ ৪৭ ২২.১৬% ৪র্থ
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ২৬১ ৯৫ ০৬ ১০১ ৩৮.৬৯% ২য়
৩.ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ১৫৩ ০৯ ৪৯ ৫৮ ৩৭.৯০% ৩য়
৪.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় — — — — — —
৫.কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ০৫ — ০২ ০২ ৪০% ১ম
৬. বেসরকারী সেভরন — — — — — —
৭. বেসরকারী ইম্পেরিয়াল — — — — — —
সর্বমোট ৬৩১ ১৪২ ৬৬ ২০৮ ৩২.৯৬%


বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য :

তারিখ ল্যাবের নাম নমুনা পরীক্ষা(সংখ্য্) আক্রান্ত পজিটিভ আক্রান্তের হার মন্তব্য
মহানগরী উপজেলা মোট
০২.০৭.২০২০ ১, বি,আই.টি.আই.ডি ৩১০ ৩০ ০৯ ৩৯ ১২.৫৮% ৭ম
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ৩১৭ ৬১ ১২ ৭৩ ২৩.০২%% ৬ষ্ঠ
৩.ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ১৪৫ ০৬ ৩০ ৩৬ ২৪.৮২% ৫ম
৪.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ ৩১ ২৯ ৬০ ৩২.২৫% ৩য়
৫.কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ২৪ — ১০ ১০ ৪১.৬৬% ২য়
৬. বেসরকারী সেভরন ২০৪ ৯৫ ১৫ ১১০ ৫৩.৯২% ১ম
৭. বেসরকারী ইম্পেরিয়াল ১৫৯ ৩৬ ০৮ ৪৪ ২৭.৬৭% ৪র্থ
সর্বমোট ১৩৪৫ ২৫৯ ১১৩ ৩৭২ ২৭.৬৫%

বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য :
তারিখ ল্যাবের নাম নমুনা পরীক্ষা(সংখ্য্) আক্রান্ত পজিটিভ আক্রান্তের হার মন্তব্য
মহানগরী উপজেলা মোট
০৪.০৭.২০২০ ১, বি,আই.টি.আই.ডি ৩৬০ ১১ ২৬ ৩৭ ১০.২৭% ৭ম
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ৪০৩ ৬২ ০৮ ৭০ ১৭.৩৬% ৪র্থ
৩.ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ১৪০ ০৭ ১২ ১৯ ১৩.৫৭% ৫ম
৪.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১০৯ ১০ ২৪ ৩৪ ৪০.৩৬% ২য়
৫.কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ০৮ ০৩ — ০৩ ৩৭.৫০% ৩য়
৬. বেসরকারী সেভরন ১৫৭ ৭২ ২২ ৯৪ ৫৯.৮৭% ১ম
৭. বেসরকারী ইম্পেরিয়াল ১৪৬ ২০ ০৫ ২৫ ১৭.১২% ৬ষ্ঠ
সর্বমোট ১৩২৩ ১৮৫ ৯৭ ২৮২ ২২.০৭%
সরনী অনুযায়ী দেখা যায়,চট্টগ্রাম বি,আই.টি.আই.ডি-তে সনাক্ত অন্যান্য লেবগুলোর তুলনায় সর্বনি¤œ পর্যায়ে আছে, (সর্বোচ্চে ২২.১৬%)। .ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আক্রান্তের হার বি,আই.টি.আই.ডি এর কাছাকাছি আছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে উক্ত দুটো ল্যাবগুলো হতে বেশী। তবে বেসরকারী শেভরন এ আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশী, ৫০% এর বেশী থাকছে। যাহা ভবিতব্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি কথা প্রচারিত হয়ে আসছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি আক্রান্ত কম হচ্ছে।, ধনীক শ্রেণী আক্রান্ত বেশী হচ্ছে। তবে সবেই অনুমান নির্ভর।অপরদিকে টাকা= ৩,৫০০/= , =৪,৫০০/=মাত্র ফি দিয়ে যেহেতু বেসরকারী টেস্ট করাতে হচ্ছে। সাধারন গরীব মানুষের পক্ষে যাহা সম্ভব নহে। কথাটি একবারে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না। তবে যেহেতু কোভিট- ১৯ সরাবিশ্বব্যপি সংক্রামক ভয়াবহ রোগ । তাই সেভরন ল্যাবে সনাক্তদের প্রতি এলাকা অনুযায়ী চিহ্নিত করে নজরদারী বাড়ানোর আবশ্যকীয়তা রয়েছে।ল্যাবগুলোতে টেস্ট করার জন্য যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, রিপোর্ট সঠিক আসছে কিনা, এতদবিষয়ে যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করা যাচ্ছে।


চট্রগামে প্রথম দিকে সরকারীভাবে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি ফৌজদারহাট এ অবস্থিত বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতালেও চিকিৎসা কার্য্যক্রম চলতে থাকে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, বেসরকারী ক্লিনিক ও আইসোলেশন সেন্টারগুলো যুক্ত হয়। মে ও জুন মাসে অবস্থা এমন হয় যে, ভর্তি ইচ্ছুক রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতা দেখা দেয়।
চট্টগ্রামে করোনা রোগীর তথ্য
তারিখ রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা
২৮.০৫.২০২০ ২২০০ ৪২০
২৯.০৫.২০২০ ২৪২৪ ৪২০
বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শয্যা না পেয়ে মৃত্যুর তথ্যও পত্র-পত্রিকায় জানা যায়।চলতে থাকে অক্সিজেন ও আইসিউর সংকট। তবে কোন কিছুতেই সনাক্তকরন ও মৃত্যু কমানো যায় নাই। চট্টগ্রাম হয়ে পড়ে মৃত্যুপুরী ও আতংকের নগরী!
শয্যার সংখা অনুযায়ী রোগী ভতি, তথ্যসূত্র : চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়, (পত্রিকা অবলম্বনে) তারিখ ০৭.০৭.২০২০।

ক্রম হাসপাতালের নাম হাসপাতালের নাম রোগী ভর্তি ফাঁকা কোভিড সংখ্যা
০১. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(লালজোন) ২০০ ১৬০ ৪০
০২. চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ১৬১ ১০১ ৬০
০৩ . ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ৩০ ০৫ ২৫
০৪. ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ৫০ ০৭ ৪৩
০৫. চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ইউনিট-২
হলিক্রিস্টে হাসপাতাল ৫০ ০৮ ৪২
০৬. রেল হাসপাতাল ৫০ ৩০ ২০
০৭. পতেঙ্গা বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল ৬০ ০৬ ৫৪
০৮ . এক্সেস রোড সংলগ্ন আইসোলেশন সেন্টার ২৫০ ২৪ ২২৬
০৯ . মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার,বাকলিয়া ৭০ ১২ ৫৮
মোট ৯২১ ৩৫৩ ৫৬৮

করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু কোনটাই কমানো যাচ্ছে না। হাসপাতালে মৃত্যু হচ্ছে। বাসায় মৃত্যু হচ্ছে। রোগীর তুলনায় হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল। একসময় হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে, চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও বেশীরভাগেই ফাঁকা থাকছে। আইসোলেশন সেন্টার এ রাগী কম যাচ্ছে ।টেস্ট কীটের সংখ্যার অপ্রতুলতার কথাও জানা যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ল্যাবে সক্ষমতার তুলনায় নমুনা পরীক্ষার জন্য কম আসছে। ফলে নমুনা জট নাই। আগে যেখানে জটের কারনে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হয়েছে। এখন নমুনা পরীক্ষা কম হলেও সংক্রমনের হার বেড়েছে। একটি প্রবাদ মনে পড়ছে- ট্রেন আসতে দেরী হচ্ছে- তাই অভিমানী যাত্রী রাগ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হেঁটে চলেছেন । তবে কি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ”অব্যবস্থাপনা দেখে অভিমান করে আমরা না ফেরার দেশে রওয়ানা দিয়েছি”?

চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা চিকিৎসা ক্ষেত্রে একধরনের সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের বাঁচার স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।মানবিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, প্রত্যোকে নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আইন শৃংখলা বাহিনী, ব্যাংকাররা ঝুঁকি নিয়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসছেন।মানবদরদী মানুষগুলো ও স্বেচ্ছসেবী সংগঠন ফিল্ড হাসপাতাল/আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেছেন। প্রশাসন কর্তৃক অনেক এলাকা রেড জোনে আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। বিভিন্ন সেবচ্ছাসেবী সংগঠন দাফন-কাফন, সৎকার এর ব্যবস্থা করছেন। চারমাস ধরে করোনাকাল চলছে, অথচ কোন গরীব মানুষকে অভুক্ত থাকার কথা জানা যায় নাই। একথা মনে রাখতে হবে, ভেকসিন আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত/ বাজারে না আসা পর্যন্ত করোনা হয়তোবা পৃথিবী থেকে যাবেনা। নির্দ্বিধায় বলা যাচ্ছে যে,সচেতনতা ও অবহেলার কারনে যদি কারো মৃত্যু ঘটে তাহা আত্ম-হত্যার সামিল হবে। মৃত্যু নয় অবশ্যই আমাদের ভালো থাকার প্রস্তÍতি নিতে হবে। তাই আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা যুদ্ধ মোকাবেলা করি।আমরা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়েছি। পরবর্তী প্রজম্ম করোনা বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে। বেঁচে থাকার লড়াই করতে হবে। এ লড়াই হবে, সচেতনতার নীরব লড়াই,স্বাস্থ্যবিধি মানার লড়াই, মানবিকতার লড়াই, দূরে থেকেও অন্তরে কাছে থাকার লড়াই। কথায় বলে, মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী। তবে সুন্দর পৃথিবীতে আগামী দিনে শান্তির প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে ।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,করোনা এমন একটি আতঙ্ক, নাম শুনলেই মৃত্যুভয় চলে আসে। এই ভয়কে জয় করতে হবে। মৃত্যুতো আছেই। মৃত্যুতো অবধারিত। কিন্ত আমি মরার আগে মরব না। কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন ” জন্মিলে মরিতে হবে! অমর কে কোথা কবে? প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরাও বলি ” করোনার ভয়কে জয় করতে হবে”। ইনশাআল্লাহ আমরা করোনামুক্ত শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলবো। আল্লাহ সহায় হউন।

লেখক : এম.জামশেদ আহমেদ, ব্যাংকার, চট্টগ্রাম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



সম্পাদক ও প্রকাশক

এম আনোয়ার হোসেন
মোবাইলঃ ০১৭৪১-৬০০০২০, ০১৮২০-০৭২৯২০।

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ

প্রিন্সিপাল সাদেকুর রহমান ভবন (দ্বিতীয় তলা), কোর্ট রোড, মিরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম।
ই-মেইলঃ press.bd@gmail.com, newsmirsarai24@gmail.com

Design & Developed BY GS Technology Ltd