ডেস্ক রিপোর্ট :::: সম্প্রতি বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে শিশু নিকেতন এর উদ্যোগে “শিশু কিশোর শিক্ষা ভাবনা, সাহিত্য- সংস্কৃতি চর্চা ও আজকের বাস্তবতা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ একাডেমীর চেয়ারম্যান এমিরাটস অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাকবি কাইয়ুম নিজামী ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক, শিশু নিকেতন এম আর মাহবুব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেলিনা খালেক।
অনুষ্ঠানের প্রধান কক্তা কবি কাইয়ুম নিজামী তার বক্তব্যে বর্তমান শহর কেন্দ্রীক শিশু শিক্ষা ব্যবস্থা আর আগের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বিষদ আলোকপাত করে বলেন। আমি পড়ালেখা করেছি গ্রামে এবং যে স্কুলে পড়ালেখা করেছি সে স্কুলেই শিক্ষকতা করেছি। আমার ছেলেমেয়েকেও আমি গ্রামের স্কুলে পড়িয়েছি। গ্রামেই মানুষ করেছি। বর্তমান একটা প্রথম শ্রেণীর ছাত্র শহরে পড়াতে মাসে যে খরচ তা আমার সাড়া জীবনেও খরচ হয়েছে বলে মনে হয় না। আমি যেমন আজ ঢাকা শহরে প্রতিষ্ঠিত তেমনি আমার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত। শহরে পড়ালেখা করলে যে খুব ভাল হবে আর গ্রামে পড়ালেখা করলে যে হবেনা তা মানতে আমি নারাজ। আমি ও আমার ছেলেমেয়েদের দিকে তাকালে বুঝা যাবে গ্রাম ও শহরে পড়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই শুধু অপব্যয় ছাড়া। মেধা থাকলে সে যেখানেই পড়ুকনা কেন তার যদি সঠিক জ্ঞান অর্জিত হয় সে সব জায়গাতেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এবং তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান যেন শিশুদের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় স্থাপনের জন্য। বর্তমানে যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় আছে তা হয়তো আগামী ৫/১০ বছর পর কোন কাজে আসবেনা।
তিনি বলেন, আমিও একজন মু্ক্তিযোদ্ধা, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের বয়স অনুসারে আগামী ৫/১০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা তেমন থাকার কথা নয়। তাই আগামীর ভবিষ্যৎ কোমলমতি শিশুদের জন্য একটা মন্ত্রণালয় একান্ত প্রয়োজন।
প্রধান অতিথি এমিরাটস অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো সুন্দরভাবে গড়তে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস থাকা উচিত এবং শিশুদের যথাযথ সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে মাতাপিতাকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান। এবং তিনিও কবি কাইয়ুম নিজামীর বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে শিশুদের জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় স্থাপনের জন্য সরকারে প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে কবি নজরুলের শিশুতোষ নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » জমকালো আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি-৮২ এর রজতজয়ন্তী উদযাপন, এ যেন বন্ধুদের প্রাণের সম্মিলন
- » মিরসরাইয়ের দুই কৃর্তিমান সাহাব উদ্দিন ও আলা উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- » স্মৃতিতে অমলিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন-এম জামশেদ আহমেদ
- » স্মৃতিতে সড়কে নিভে যাওয়া আলা উদ্দিন : মধ্যম মুরাদপুর থেকে ধানমন্ডি ২৭
- » মহিয়সী নারী জাহানারা চৌধুরী লাকীর চিরবিদায়; স্মৃতি রোমন্থন
- » মুক্তিযুদ্ধ ও মীরসরাইয়ের যুবশক্তি
- » লেখাপড়া ও বিতর্কে মিরসরাইয়ের সন্তান সানজিদের অভুতপূর্ব সাফল্য
- » চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর ভয়াবহতা
- » না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয় জামসেদ আলম
- » মিরসরাই প্রেসক্লাবে সাহিত্যিক কাইয়ুম নিজামীর আড্ডা, মহাকাব্য, উপন্যাস ও কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা