মিরসরাইনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক » » » » শিক্ষক ও বোর্ডের দ্বন্দ্বে মিরসরাই উপজেলার জয়পুর পূর্ব জোয়ার আঙ্কুরেরনেছা ওবায়দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। অষ্টম শ্রেণির ১২৭ শিক্ষার্থীর ২০১৭ সালের নিবন্ধন হয়নি। এ কারণে তারা জেএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে না।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অব্যাহতিপত্র দেন কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক শাহ পরাণ শামীম। ২৪ নভেম্বর পরিচালনা পরিষদের তরফ থেকে শিক্ষকের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২৯ নভেম্বর ওই শিক্ষক চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি অভিযোগ করেন। এতে জোর করে অব্যাহতিপত্র নেওয়ার কথা বলা হয়।
২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ও ৫ জুন দুই দফা চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ওই শিক্ষকের অব্যাহতির কারণ জানাতে বলে। এ জন্য পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে বোর্ডের আপিল আরবিট্রেশন কমিটির সভায় তলব করে। দুটি সভার কোনোটিতে সভাপতি উপস্থিত হননি। তবে প্রধান শিক্ষক সর্বশেষ সভায় উপস্থিত হলেও যথোপযুক্ত কারণ জানাতে পারেননি। একই বছরের ১৮ জুলাই বোর্ড শিক্ষককে পুনর্বহালের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ না মানায় ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের কাছে কারণ জানতে চায়। এ ছাড়া একই চিঠিতে ওই শিক্ষককে পুনর্বহালের তাগিদ দেওয়া হয়। বহাল না করা হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বোর্ডের আদেশ অমান্য করা হলে পরীক্ষার্থীদের নিবন্ধনসহ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট যেকোনো জটিলতার জন্য প্রধান শিক্ষক দায়ী থাকবেন। ’ পরে চলতি বছরের ৩ মে প্রধান শিক্ষক অমৃত রঞ্জন দেবনাথ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে কারণ দর্শনোর লিখিত জবাব দেন। এতে তিনি দাবি করেন, ওই শিক্ষক স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র দেন। বিধান মতে তাঁর পাওনা বকেয়া বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে পুনর্বহালের ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অব্যাহতি নেওয়া শিক্ষক শাহ পরাণ শামীম বলেন, ‘২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ছিল আমার জন্মদিন। ওই দিন শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে কেক কেটে আমার জন্মদিন উদ্যাপন করে। এ ঘটনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা এটি করে ফেলেছিল। এর জন্য আমি প্রধান শিক্ষক ও কমিটির কাছে হাতে ধরে, পায়ে পড়ে ক্ষমা চেয়েছি। তবু তারা আমাকে ক্ষমা করেনি। আমাকে অব্যাহতিপত্র দিতে জোরজবরদস্তি করেছিল। ’
প্রধান শিক্ষক অমৃত রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের নিবন্ধন হয়নি। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি; তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে পরীক্ষার ফরম পূরণেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ’
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মেহের নিগারের বাবা জসীম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক ও বোর্ডের দ্বন্দ্ব। এতে আমাদের বাচ্চাদের কী দোষ? তারা কেন পরীক্ষা দিতে পারবে না?’
আরেক ছাত্রী শিউলি রানী নাথের বাবা বাবুল দেবনাথ বলেন, ‘আমরা নিবন্ধন ফি দিয়েছি; কিন্তু আমার মেয়ের নিবন্ধন হয়নি। ’
১২৭ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন না হওয়া এবং তাদের পরীক্ষার ফরম পূরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার বিষয়ে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহেদা ইসলাম বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘যা-ই হোক না কেন, একজন শিক্ষকের পুনর্বহাল প্রক্রিয়ার জন্য বাচ্চাদের রেজিস্ট্রেশন হবে না, ফরম পূরণ হবে না, তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না! এটা হতে পারে না। এটা অপ্রত্যাশিত। আমি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেব। ’#কালের কন্ঠ
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » পূর্ব হিঙ্গুলী মোহাম্মদপুর ইসলামিক একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ
- » করেরহাট গেড়ামারা ছাদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন
- » মিরসরাইয়ে এসএসসিতে ফাতেমা গার্লস হাই স্কুলের শতভাগ পাশের সাফল্য
- » এসএসসি-২০০৪ ব্যাচ মিরসরাই উপজেলার ইফতার ও দোয়া মাহফিল
- » মিরসরাইয়ের ঝুলনপোল বেণী মাধব উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বৃহস্পতিবার
- » মিরসরাইয়ে এসএসসি ২০০৪ ব্যাচের বন্ধু পরিচিতি ও আড্ডা
- » প্রথমবারের মত আইআইইউসি সাংবাদিক সমিতির কমিটি ঘোষনা
- » করেরহাট অলিনগর লায়লা বেগম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন সভাপতি হাজ্বী নিজাম উদ্দিন
- » মিরসরাইয়ে ৪ টি স্কুল ও ১০ টি মাদ্রাসার পাশের হার শতভাগ, এসএসসিতে পাশের হার ৯০.২২%, দাখিলে ৮৭.০৭%
- » আবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ