সর্বশেষ আপডেট



» মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

» ভোক্তা নিউজ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন মিরসরাইয়ের সন্তান গাজী টিভির তৌহিদ রানা

» পূর্ব হিঙ্গুলী মোহাম্মদপুর ইসলামিক একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ

» হাইতকান্দিতে সমাজসেবক জামশেদ আলমের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে সাড়ে ৩ শত পরিবার পেল খাদ্য সামগ্রী

» করেরহাটে ওবায়দুল হক খোন্দকার ও নুর নাহার বেগম ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

» জিয়া উদ্দিন সিআইপিকে সংবর্ধনা

» সাহেরখালীতে দিদারুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ শত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

» করেরহাট গেড়ামারা ছাদেক কোম্পানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন

» সাংবাদিকতায় গোল্ড মেডেল জিতলেন মিরসরাইয়ের তৌহিদ রানা

» সিআইপি নির্বাচিত হলেন মিরসরাইয়ের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন

» মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক

» চট্টগ্রাম নগরীতে ‌‌‌‌হল টুডে কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন

» মিরসরাইয়ে অসহায় মেয়ের বিয়েতে আর্থিক অনুদান প্রদান করলো ওমান মিরসরাই সমিতি

» সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বারইয়ারহাট শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

» কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক মিরসরাইয়ের নেতাকর্মীদের দেখতে গেলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ

» সবুজায়নের লক্ষ্যে মিরসরাইয়ে দেড় লক্ষ বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ

» মিরসরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অদম্য যুব সংঘের নতুন কমিটি গঠন, নিয়াজ সভাপতি; সম্পাদক নাজমুল

» মিরসরাইয়ে এসএসসিতে ফাতেমা গার্লস হাই স্কুলের শতভাগ পাশের সাফল্য

» মিরসরাইয়ে আশা’র উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প

» জোরারগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্যোগে ৭ শতাধিক রোগী পেল ফ্রি চিকিৎসা

সম্পাদক ও প্রকাশক

এম আনোয়ার হোসেন
মোবাইলঃ ০১৭৪১-৬০০০২০, ০১৮২০-০৭২৯২০।

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ

প্রিন্সিপাল সাদেকুর রহমান ভবন (দ্বিতীয় তলা), কোর্ট রোড, মিরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম।
ই-মেইলঃ press.bd@gmail.com, newsmirsarai24@gmail.com

Desing & Developed BY GS Technology Ltd
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমিনা মায়ের কোলে এক অবিস্মরণীয় মহাকাব্য

এম আর মাহবুব >>>সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব, মুক্তির শেষ দূত ও মানবতার বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ মানব জাতির জন্য এক মহান দৃষ্টান্ত। মহানবীর জীবনকাহিনি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবন কাহিনি নয় বরং তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সভ্যতার গৌরবদীপ্ত অবদানের সত্যগাথা ও আদর্শের প্রতীক। আমাদের প্রিয় মহানবীর জীবন নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মহানবীকে জানা বুঝা মানেই ইসলামী আদর্শকে জানা বুঝা ও মনে প্রাণে ধারণ করা। সংগত কারণেই এই পবিত্র জীবনকাহিনি অধ্যয়ন করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
মহাকবি আল্লামা কাইয়ুম নিজামী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর জীবন কাহিনি নিয়ে রচনা করেছেন এক অনবদ্য ও অবিস্মরণীয় মহাকাব্য ‘আমিনা মায়ের কোলে।’ এটি মহাকবি কাইয়ুম নিজামীর চতুর্থ মহাকাব্য ইতোপূর্বে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে রচনা করেছেন দু’টি মহাকাব্য ‘টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম তোমার’ এবং ‘হাজার কবিতায় বঙ্গবন্ধু’। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচনা করেছেন ‘কন্যার নাম শেখ হাসিনা’। তিনটি মহাকাব্যই সুধীমহলে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।
আলোচ্য মহাকাব্য চিরাচরিত পন্থায় রচিত রসুলুল্লাহ সা: এর কোন জীবনীগ্রন্থ নয়। এতে মহানবীর জন্ম, তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা, বাল্যকাল, নবুয়ত লাভসহ সমাজ বিপ্লবের প্রতিটি অধ্যায় এমনকি তিরোধানসহ সকল বিষয়কে সুনিপুন কারিগরের মতো কাব্যকথায় তুলে ধরা হয়েছে। মহানবীর জীবন-ইতিহাস নতুন ধারায় নতুন পদ্ধতিতে তিনি পাঠক সমাজের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সত্যকথা ও সঠিক তথ্যের আলোকে। এমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কথা তার মনে দীর্ঘদিন যাবৎ অনুভুত হয়ে আসছিল। ইসলামী চেতনা ও প্রেরণায় উদ্ভুত হয়ে নবীপ্রেমী মহাকবি কাইযূম নিজামী এই মহাকাব্য রচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বহুসময় ধরে। ইসলাম, আল কোরআন, হাদিস শরিফ এবং মহানবীর ওপর প্রচুর লেখাপড়া ও গবেষণা করেছেন।
অক্লান্ত শ্রম আর সাধনা এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগের ফলস এই মহাকাব্য। মহাকবি কাইয়ূম নিজামী ঐতিহাসিক গবেষণার সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে রসুল সা: এর জীবন তার যুগ ও সংগ্রাম সম্পর্কে ১১৫৯ পৃষ্টায় এই মহাকাব্য সন্নিবেশিত করেছেন এক বিশাল ও নিখুঁত তথ্যভান্ডার। আমিনা মায়ের কোলে এই মহাকাব্যটি পড়ার মাধ্যমে একজন পাঠকের রসুল সা: এর পবিত্র জীবন কাহিনীর একটা সামগ্রিক অধ্যয়ন সম্পন্ন হবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে ঘটনাক্রম এমনভাবে বর্ননা করা হয়েছে রসুল সা: এর জীবনী পাঠের সাথে সাথে পাঠকসমাজ নিজ ঈমান ও চরিত্রের নতুন উদ্দীপনাও লাভ করবে এবং জন্মনেবে ইসলাম ধর্মের উপলদ্ধি। আলোচ্য মহাকাব্যটি থেকে পাঠক সমাজ মহানবীর জীবনের সমস্ত তত্ত¡, তথ্য ও মর্ম বুঝে কল্যাণ অর্জন করে ফেলবে তেমন নয় তবে ইসলাম ও মহানবীকে কিছুটা হলেও জেনে তার প্রাণশক্তির উজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করতে পারবে। এই মহাকাব্যে বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সাধনা, সংগ্রাম ও ইসলাম প্রচার করতে চেয়ে তার প্রতি নির্যাতনের কাহিনি পড়ে পাঠক হৃদয়ে যদি কিছুটা হলেও মগ্ন হয় চোখের কোনে দু’ফোটা অশ্রæ জমা হয় আর সে উসিলায় আল্লাহ ক্ষমা করেন তাহলেই মহাকবি কাইয়ুম নিজামীর মহাকাব্য রচনা সার্থক হবে বলে তিনি মনে করেন। সে কথাই তিনি বিশাল মহাকাব্যের ছোট্ট ভুমিকায় উল্লেখ করেছেন এভাবে: “সংসারের সকল কাজ কর্ম এবং ব্যবসা বাণিজ্য শেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমিনা মায়ের কোলে পড়তে পড়তে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কী সীমাহীন কষ্ট করেছেন, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন তা জেনে আমাদের দু’ চোখের কোণে যদি দু’ ফোটা অশ্রæকনা জমা হয় এ উসিলায় পরম দয়াবান আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন। কেননা তিনি দয়ার সাগর। তার হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মতদের তিনি কোন না কোন উসিলায় ক্ষমা করবেন। হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
আমার মনে হয় উপমহাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে হযরত মুহম্মদ স. এর জীবনী নিয়ে মহাকাব্য রচনা এটিই সম্ভবত প্রথম। সেই দিক থেকে বিচার করলে কাইয়ুম নিজামীও ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন। আসলে এসব কথা বলার উদ্দেশ্য মহাকবি কাইয়ূম নিজামী এবং তার মহাকাব্য নিয়ে প্রশংসা বা সমালোচনা করা নয়। তিনি যে মহৎ কাজটি করেছেন তার সম্মান পাঠক সমাজই তাকে দেবেন আশা করি। ইসলাম আর কোরআন এবং প্রিয়নবীর প্রতি সমর্পিত হয়েই তিনি এই পবিত্র কর্মযজ্ঞ করেছেন বলে আমার ধারণা তাই আল্লাহ তাকে আর প্রাপ্ত সম্মান দেবেন ইনশাল্লাহ। আমি শুধু মহাকবি কাইয়ুম নিজামীর দীর্ধকাল ব্যাপী কঠোর শ্রম ও সাধনার মাধ্যমে রসুল সা: এর জীবনী কাব্যকথায় আমাদেরকে উপহার দিতে চেষ্টা করেছেন সে কথা এবং বইটি পড়ে আমার উপলদ্ধির কথাটা বলতে চেয়েছি। কাইয়ুম নিজামীর এই পবিত্র কর্মযজ্ঞ নিয়ে কিছু লিখতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এবং কোন ভুল ত্রæটির জন্য পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আলোচ্য মহাকাব্যটি ১১৫৯ পৃষ্টার একটি কবিতা। তবে এতে কিছু শিরোনাম উপশিরোনাম দেয়া হয়েছে পড়া ও বুঝার সুবিধার্থে। মহাকাব্যটি শুরু করা হয়েছে- আমিনা মায়ের কোলে শিরোনামে। এই নামেই মহাকাব্যের নামকরণ করা হয়েছে। এতে মহান আল্লাহর প্রশংসা, মহানবীর আবির্ভাবের পূর্ব ইতিহাস, তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপট, জন্ম ও শৈশবের দিনগুলোর কথা বলা হয়েছে।


‘বক্ষ বিদারক’ নামের শিরোনামে মহানবীর জীবনে আলৌকিকভাবে ঘটে যাওয়া চারবার বক্ষ বিদীর্ন হবার ঘটনা তুলে ধরেছেন। পরে ‘শিশু নবী এতিম হলেন,’ ‘আল আমিন’; ‘কাবা গৃহের সংস্কার ও তাতে ফয়সালা প্রদান,’ ‘সংসার জীবনে হযরত মুহাম্মদ (সা:), ‘নবুয়ত লাভ;’ ‘নবুওয়তের প্রথম তিনবছর’, ‘মুসলমান সংখ্যা বৃিদ্ধ ও প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার’, ‘দিন যেতে থাকে’, ‘হযরত হামযা (রা:) এর ইসলাম গ্রহণ এবং নবীজিকে বিভিন্ন প্রলোভন’; ‘সংঘর্ষের সুচনা’, ‘শুরু করলো উৎপীড়ন’; ‘কতিপয় মুসলমানের হাবসায় হিজরত নবুয়তের সপ্তম থেকে নবম বৎসর’; নবুয়তের দশম বৎসর এবং প্রিয়জনদের পরলোকগমন’; ‘তায়েফ গমন’, ‘বিভিন্ন গোত্রে ইসলাম প্রচার, ‘নবুয়তের একাদশ থেকে দ্বাদশ বৎসর’; ‘ইসরা এবং মিরাজ ‘পক্ষান্তরে মদীনার রূপ ভিন্ন’; ‘হিজরত’, মদীনায় রসুল (সা:)’, মদীনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শত্রæতা, ‘বদরের যুদ্ধ’ ‘আরো কয়েকটি অভিযান ও কয়েটি ঘটনা ওহুদের যুদ্ধ ও কয়েকটি ঘটনা মদীনা ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেন’; ‘খন্দকযুদ্ধ’ ‘বনু কুরায়যা ও কয়েকটি ঘটনা’, শ্রেষ্ঠত্বের অভিযান, হুদায়বিয়ার যুদ্ধ’; ‘বয়অত সমাপ্ত হলো ‘খায়বার বিজয়’ আওতাস ও তায়িফ বিজয়; মক্কা বিজয়’ গুনায়ন, ‘আওতাস ও তায়িক অভিযান’, ‘তাবুক অভিযান’, ‘বিদায় হজ্জ’, ‘মহা প্রস্থান’ ইত্যাদি শিরোনামে মহানবীর জীবনের পর্বগুলোকে ধারাবাহিকভাবে কাব্যকথায় উপস্থাপন করেছেন।
সাধারণ ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থে, ঘটনাবলির কালগত ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলোচ্য মহাকাব্যে সেই দিকে দৃষ্টি রেখে সুচিবিন্যাস করা হয়েছে। এতে করে এক নজরে নবী জীবনের প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা চলে এসেছে।
হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন পরিপূর্ণভাবে একজন নৈতিকতা সম্পন্ন এবং মানবিক মহামানব। একদিকে তার সততা আদর্শ যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়েছে এ মহাকাব্যে। উপরন্তু ইসলাম প্রচারে বিরোধীদের অসহ্য নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
মহানবী স্বয়ং বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি এমন যুদ্ধনীতি ও প্রতিরক্ষা কৌশল ব্যবহার করতেন যাতে নূন্যতম প্রাণহানি ও রক্তপাতে রণাঙ্গনেও মানুষত্বের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। মানবতার এমন সব উজ্জ্বল ঘটনার চমৎকার উপস্থাপনা মহাকাব্যকে আলাদা মর্যাদা দান করেছে।
নবুয়ত লাভ এবং হিজরত মহানবীর জীবনের স্মরনীয় ঘটনা। এ দুটি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এমনভাবে উদ্বৃত হয়েছে যা পড়ে যে কেউ অতি সহজেই বক্তব্যের সারাংশ আয়ত্ব করতে পারবে।
মহানবীর ব্যক্তিজীবন, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, মনীষা, অন্তদৃষ্টির পরিচয়সহ সত্য ও ন্যায়ের বিজয় অর্জনে ত্যাগের ইতিহাসও বাদ যায়নি এতে। বিদায় হজ্বের ভাষণ এবং মহানবীর জীবনাবসানের ঘটনাটি এমন সুন্দর ভাষা এবং শব্দ চয়নে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না। নবী জীবনের অনেক অলিখিত ও অপ্রকাশিত অধ্যায় আলোচিত হয়েছে উক্ত মহাকাব্যে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনী নিছক জনৈক ব্যক্তির জীবনী নয় বরং এটা হচ্ছে এমন এক ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্বিক শক্তির জীবন কাহিনি যিনি একজন মহামানব রুপে আবিভূর্ত হয়েছিলেন, যিনি ছিলেন সমগ্র মানবজাতির মুক্তিদুত। মহাকবি কাইয়ূম নিজামী অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তথ্য উপাত্তসহকারে, ‘আমিনা মায়ের কোলে’ শীর্ষক মহাকাব্যে এক নতুন বিশ্ব নির্মাতার অবদান শুধু নয় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অসংখ্য ঘটনার নান্দনিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন কবিতার পঙিতে।

মহাকবি আল্লামা কাইয়ুম নিজামী


মহানবীর জীবন কাহিনি শুধু নবীজীবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং অসংখ্য ব্যক্তির জীবনকে সুষমা মন্ডিত করেছে। মহানবীর পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজনসহ হযরত আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, খালেদ- সকলেই এই মহাকাব্যের অংশ। তাদের জীবন চরিত্রলিপিবদ্ধ হয়েছে প্রাসঙ্গিকভাবে। আলোচ্য বিশালায়তন এ মহাকাব্য পাঠ করলে একদিকে পৃথিবীর মহত্তম ও শ্রেষ্টতম ব্যক্তিত্বের দুলর্ভ তথ্যাবলি পাওয়া যাবে অন্যদিকে পাঠকদের মনে প্রশান্তি, প্রেরণা এবং উদ্দীপনা জাগ্রত হতে পারে। ক্ষণিকের জন্য হলেও আপনার হৃদয়ে ভক্তির ঢেউ ওঠতে পারে, অশ্রæসিক্ত হতে উঠতে পারে আপনার দু’ নয়ন। নৈতিক ও মানবিক জাগরণে আপনি হয়ে উঠতে পারেন এক নতুন পবিত্র মানুষ।
আমি মনে করি ‘আমিনা মায়ের কোলে’ এ মহাকাব্য ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। রাসুল সা: এর জীবন ও আদর্শ প্রকৃতপক্ষে পুরো মানবজাতির আদর্শ। এতে রয়েছে সার্বজনীন কল্যাণের উৎস। সেসব উৎস থেকে জহুরীর মত সকল তথ্য উদ্ধার করে আলোচ্য মহাকাব্যে লিপিবদ্ধ করেছেন মহাকবি কাইয়ুম নিজামী।
মানতবতার ইতিহাস সবচেয়ে মহত্তম মানুষ এবং ইতিহাস ¯্রষ্ট্রা মহানবীকে নিয়ে মহাকাব্য রচনার জন্য মোবারকবাদ জানাই মহাকবি কাইয়ুম নিজামীকে। প্রিয় নবীর জীবন কাহিনি মানবজীবনের শিক্ষনীয় বিষয়। এ মহাকাব্যে রয়েছে সে সব শিক্ষনীয় বিষয় যা দিয়ে গোটা জীবন অতিবাহিত করা যায়, এ মহাকাব্য পড়ার সময় নিজেকে চোখের সামনে এবং খুব নিকটেই মহানবীর অবস্থান অনুভব করতে সক্ষম হবেন। অন্তরে মহানবীর প্রতি ভালোবাসা উৎসারিত হয়ে হৃদয় আপ্লুত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এখানেই মহাকবি কাইয়ুম নিজামীর মহত্ব ও কৃতিত্ব।
ব্যক্তি জীবনে কাইয়ুম নিজামী ছিলেন একজন শিক্ষক। সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ মাতৃকার জন্য শুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কবি ও কথা সাহিত্যিক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্য শতাধিক। ৪টি মহাকাব্য রচনা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। সেই অনন্য ও অনবদ্য ঘটনার জন্মদাতা কাইয়ুম নিজামী আজ কবি থেকে মহাকবি।
আলোচ্য মহাকাব্যটি তার চতুর্থ মহাকাব্য শিঘ্রই প্রকাশিত হবে পঞ্চম মহাকাব্য ‘কবিতায় আল কোরআনের আলো।’
‘আমিনা মায়ের কোলে’ শীর্ষক মহাকাব্যটি প্রথম প্রকাশিত হয় জানুয়ারি, ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দে। জায়েন পাবলিকেশন থেকে মহাকাব্যটি প্রকাশ করেছেন আফরোজা নিজামী। প্রচ্ছদ একেছেন মো: নেওয়াজ শরীফ এবং পরিবেশক : গ্রন্থকুটির। ১১৫৯ পৃষ্টার এ মহাকাব্যটির মূল্য দুই হাজার একশত পচাত্তর টাকা। মহাকাব্যটি উৎসর্গ করা হয়েছে এভাবে: আমার মা-বাবা, ভাই বোন, স্ত্রী ছেলে মেয়ে এবং প্রিয় মুসলিম ভাই বোনদের খেদমতে।
পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা রসুল (সা:) এর প্রদর্শিত কর্মপন্থা অনুসারে আমাদের জীবন মানবতার কল্যাণে নিবেদিত হোক। কাইয়ুম নিজামীর এ মহাকাব্য পুস্তকের পাতা থেকে আমাদের বাস্তব জীবনের পাতায় ওঠে আসুক। সফল হোক মহাকবির মহৎ উদ্দেশ্য। সার্থক হোক মহাকাব্য ‘আমিনা মায়ের কোলে’।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



সম্পাদক ও প্রকাশক

এম আনোয়ার হোসেন
মোবাইলঃ ০১৭৪১-৬০০০২০, ০১৮২০-০৭২৯২০।

সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ

প্রিন্সিপাল সাদেকুর রহমান ভবন (দ্বিতীয় তলা), কোর্ট রোড, মিরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম।
ই-মেইলঃ press.bd@gmail.com, newsmirsarai24@gmail.com

Design & Developed BY GS Technology Ltd